বাংলাদেশে রিকশাওয়ালাদের মতিগতি বুঝা খুবই অসম্ভব টাইপস ব্যাপার । কখন যে কোনটার মাথা কিভাবে কাজ করে বুঝা কঠিন । তবে উনারা বেশ রসিকপ্রিয় ।
উদাহরন দেই…
# পেটে পড়েনা ভাত…তাও উদাস হয়া রিকশায় আয়েশ কইরা বইসা গান গায়…
# কামের সময় অধিকাংশ রিকশাওয়ালাই বলে “যামু না”…
# ট্রাফিকের গুষ্টি কিলাই…খালি একটার রিকশায় আরেকটার টাচ লাগলেই হয়…(ভাষাটা অবশ্যই অশ্রাব্য হয়)
# ইদানিং ব্যাটারি রিকশা চালু হওয়ার পর হঠাৎই রিকশাওয়ালাদের বাসের চেয়েও বেশি জোরে ছোটার প্রবণতা দেখা যাইতেছে…এটা প্যাডাল রিকশাভাইদের চোখে অচ্ছাম দুঃখের বিষয়…
# কিছু কিছু রিকশাওয়ালা মাঝে মাঝে “ফার্মগেট থেকে গ্রিনরোড” এই ক্ষুদ্র ডিসট্যান্সের ভাড়া (৫০ টাকা !!! ) অবিশ্বাস্য রকমের দাবি করে,তখন অন্যান্য রিকশাওয়ালাদের হাস্যরসটা দেখার মতো হয় ।
# মাঝে মাঝে ৩০ টাকার ভাড়া যখন ১৫ টাকা চায়া বসে,তখন নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ইনি জায়গাটা চিনেন না…প্রমান পাইবেন পরে…বেশ কিছুদূর যাওয়ার পরই শুরু,
+“ডানদিকে জামু ভাই ??”
-“ক্যান,চিনেন না ??”
+চিনি তো…(নিজের জবাবে নিজেই অসন্তুষ্ট)
পরে জায়গামত পৌঁছানোর পর,“ভাই,এই ভাড়ায় অয় না তো…”
# গুলশান-বনানির ঐদিকের রিকশাওয়ালারা বিদেশি পাইলে ভয়ানক হয়া উঠে । খালি সামনে কোন রিকশাওয়ালা পাইলেই হয়…ঐ টুট…টুট…টুট…সামনে থেইকা সর হালার পুত…
# উনাদের মাঝে মেয়ে-ছেলে ডিফারেন্স আছে…২ টা উদাহরন দিবো…
প্রথম উদাহরন :
ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের পাইলে রিকশাওয়ালারা বেশি খুশি হয়…কারন আপনি মাঝে মাঝেই দেখবেন কোন রিকশা পঙ্খিরাজ হয়া গেছে…তখন বুঝবেন যে ঐ রিকশায় মেয়ে আছে…আর কোন শামুকগতির রিকশা দেখলে শিওর হয়া যান যে ওইটায় ছেলে আছে…
দ্বিতীয় উদাহরন :
ঐদিন দেখলাম এক লোক থাপড়াইয়া এক রিকশাওয়ালারে লাল বানায়া ফেলছে…
কাছে গিয়া জমা ভিড়ের একজনের কাছ থেকে জানতে পারলাম,‘জনৈক ভদ্রলোক রিকশাওয়ালাকে এক জায়গায় যাইতে বলায় সে মানা করে…কিন্তু তাকেই একই জায়গায় এক সুন্দরী আপা যাওয়ার কথা বললে সে সানন্দে রাজি হয় । এটাই ভাইয়ের পছন্দ হয় নাই ।
আজব বাংলাদেশের রিকশাওয়ালারা !!!!!
ওদের কি দোষ ???
এই দেশের সব মানুষই আজব । ওরাও তো মানুষ !
